দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যতবড় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হোক বা কর্মচারী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করবো না। বললেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষ্যে উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সহায়তার অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মেধাবী জুডিসিয়াল অফিসারদের সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে নিয়ে এসেছি। কক্সবাজার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে এসেছি। তাকে প্রধান করে দুর্নীতি রোধে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। তাদের নির্দেশনা দিয়েছি সুপ্রিম কোর্টের কোনও সেক্টরে দুর্নীতি চলছে কি না তা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে, আমি অন্তত এক মিনিটও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপেক্ষা করব না। সে যত উচ্চপদস্থ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হোক বা সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারীই হোক। তার বিরুদ্ধে প্রসিডিং শুরু করতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করব না। কিন্তু যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না আসে তাহলে কীসের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব? যখন কারও দুর্নীতি হাতেনাতে ধরা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে যদি দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত হন, কোনও প্রমাণ থেকে থাকলে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।
প্রধান বিচারপতি লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমের প্রশংসা করে হাসান ফয়েজ বলেন, বিচার প্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসারদের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক। লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে যদি জোরদার করা যায় তাহলে মামলা জট ধীরে ধীরে কমে আসবে। তিনি আইন পেশাকে মানুষের সেবার করা বড় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে আইনজীবীদের গরীব মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।