মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে বিদায় করতে সর্বোচ্চ কঠোর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানোর পর বরখাস্ত হলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন। শনিবার তাকে বরখাস্ত করে দেশটির সেনা শাসকরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শনিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কিয়াও মোয়ে তুনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, তিনি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং সরকারস্বীকৃত নয় এমন একটি সংগঠনের পক্ষে কথা বলেছেন যারা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে না। রাষ্ট্রদূতের ক্ষমতা ও দায়িত্বের অপব্যবহার করেছেন তিনি।
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আবেগঘন বক্তব্য দেন কিয়াও মোয়ে তুন। তিনি বলেন, অবিলম্বে সামরিক অভ্যুত্থানের অবসান ঘটাতে, নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধে, জনগণের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সম্ভাব্য কঠোরতম পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সু চির ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন বলেও জানান তিনি। বর্মিজ ভাষায় বক্তব্য শেষে তিন আঙুল উঁচিয়ে স্যালুট দেন মিয়ানমারের বরখাস্তকৃত রাষ্ট্রদূত। করতালি দিয়ে তার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। একে সাহসী বক্তব্য অভিহিত করেছে অনেকে। এদের মধ্যে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডও রয়েছেন।
মিয়ানমার নিয়ে বিশেষ বৈঠকে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি তার দেশের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিবৃতি জারি করে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানোরও আহ্বান জানান কিয়াও মোয়ে তুন।
কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখব। যে সরকার জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ও জনগণের স্বার্থে পরিচালিত।
এসএন