ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক আটকিয়ে বিক্ষোভ করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন আটকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে তারা প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন। এতে কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ রুটে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রধান ফটকে আটকে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কথায় কথায়’ ফটক আটকিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন পরিবহন প্রশাসক। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে।
এদিকে ঠিক কি দাবিতে আন্দোলন চলছে এ ব্যাপারে জানেন না আন্দোলনকারীরা। একাধিক আন্দোলনকারী একেকরকম দাবির কথা জানিয়েছেন। শুরুতে ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে দেওয়া ছাত্রলীগের ৩৩ দফার বিষয়টি জানালেও পরে তারা ৭ দফা দাবির কথা জানান। অন্যদিকে কয়েকজন নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুত বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। তবে পরে আবার তারা ৪ দফা দাবির কথা জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট আটকিয়ে আন্দোলন করে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলুক। পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এভাবে কথায় কথায় এভাবে গেইট আটকানো উচিত না। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।