পাশাপাশি থাকা দুটি সাধারণ শৌচালয়ের গঠনশৈলি দেখলেই বলে দেয়া যায় কোনটি পুরুষদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কারণ, পুরুষরা সাধারণত দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করতেই অভ্যস্ত। মহিলাদের মতো কমোডে বসার অভ্যাস তাদের নেই। কিন্তু এই অভ্যাসই নাকি পুরুষদের মূত্রাশয়ঘটিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। বেশিরভাগ পুরুষই সাধারণত দাঁড়িয়েই প্রস্রাব করে।
পুরুষের এই অভ্যাস অতি পরিচিত। আমরা কখনো ভাবিনি যে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা ভালো না খারাপ। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে শরীরের মারত্মক ক্ষতি হয়। যা একজন পুরুষ কল্পনাও করেনি কখনো।
দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের কী ধরণের ক্ষতি হয়:
এক-দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো মূত্রথলির নীচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে মূত্রথলিতে চাপ লাগে, ফলে সহজেই দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
দুই- দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
তিন- দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের ওপরের অংশে কোনও চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারে না। উল্টো তা শরীরের ওপর দিকে উঠে যায়। ফলে শরীরের অস্থিরতা, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায়।
চারঁ- দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলি শরীর থেকে ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে না। সেগুলো মূত্রথলির নীচে গিয়ে জমা হয়। দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে এই দূষিত পদার্থগুলি জমতে জমতে কিডনিতে পাথর সৃ্ষ্টি করে।
পাচঁ- একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত দাড়িয়ে প্রস্রাব করেন, তারা শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস বা মারাত্মক কিডনির অসুখে আক্রান্ত হন। কিন্তু বসে করলে এসব রোগ হতে তেমন দেখা যায় না।