২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এছাড়া নূন্যতম আয়কর দুই হাজার টাকা এটা সাংঘর্ষিক। তবে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকার প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে।
আজ শনিবার (৩ জুন) বাজেট পর্যালোচনা নিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সভার আয়োজন করে ব্র্যাক বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস ফোরাম।
ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের প্রফেসর ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজেটের আকার মোটেই বড় নয়। জিডিপির আনুপাতিক হারে বাজেট ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। আকার ছোট হলেও বাজেটের বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এসময় তিনি জনগণের ওপর করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) রয়েছে, কর দেয় এর চেয়ে অনেক কম। এক্ষেত্রে টিআইএনধারীদের কর নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়াতে হবে।
সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অনেক রূপকল্পের কথা বলা হয়েছে। আছে নানা অর্জন আর প্রত্যাশার কথা। কিন্তু কোনো বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।
তিনি বলেন, ব্যক্তি করমুক্ত আয়ের সীমা যেটা সাড়ে তিন লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে এটা ঠিক আছে। কিন্তু দুই হাজার টাকা যা মিনিমাম কর ধরা হয়েছে এটা কেন? রিটার্ন দিলেই দুই হাজার টাকা দিতে হবে। এটাকে আমার সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খেলাপি ঋণ আদায়, বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি হ্রাস এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
আইপিডিসি ফিনান্স’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বলেন, অবশ্যই আমরা রাস্তা-ঘাটসহ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চাই। সেই সঙ্গে একটি সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য দেশে সুশাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, বিচার ব্যবস্থার উন্নতিসহ একটি ব্যবসা সহায়ক পরিবেশও চাই।
তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টর যেহেতু সবসময় রাজস্ব আহরণে সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে, তাই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সরকারের নিকট থেকে সহায়তা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।