নোয়াখালীর সেনবাগে আওয়ামী লীগ নামধারী সাবেক পাঁচ নেতা নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণেই গেলো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সেখানকার ৯টি ইউনিয়নের দুটিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই তৎপরতা চালায় তারা।
ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এই ৫ জন মিলে এখনও নীল নকশা বাস্তবায়ন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০১ সালে এই আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয় এলাকার জনবিচ্ছিন্ন নেতা ড. জামাল উদ্দিনকে। তখন জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তুমুল বিরোধীতা করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ঝাড়ুমিছিলও করা হয়। এক পর্যায়ে জামাল উদ্দিনের প্রার্থীতা বদল করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
এরপর ২০০৮ সালে আবারও জামাল উদ্দিনকে মনোনায়ন দেয়া হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রাথীর কাছে ২০ হাজার ভোটে হেরে যায়। এর পর দলের হাল ধরেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ হাল ধরেন পরিচ্ছন্ন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ মোরশেদ আলম।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন মোরশেদ আলম। এলাকার উন্নয়ন ও বিএনপির ঘাটিকে নৌকার দূর্গোতে রুপান্তর করতে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে চোষে বেড়ান এলাকার প্রতিটি গ্রাম।
এরপর ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আবার মনোনায়ন পান মোরশেদ আলম। সেবার বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদ ফারুককে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এরপর থেকে মোরশেদ আলমের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী কয়েকজন নেতা।
স্থানীয় জনগন বলছে, সেনবাগ উপজেলার আওয়ামী লীগের সেভাপতি জাফর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক, দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক
সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন এ নীল নকশা বান্তবায়ন করছে।
মোরশেদ আলমের বিরোধীতার নামে প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে এ চক্র। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে গেলো ইউপি নির্বাচনে সেনবাগের ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে পরাজিত হয় নৌকা।