সড়ক দুর্ঘটনার জন্য এককভাবে চালকরা দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, জনসচেতনতার পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণসহ সব সুযোগ-সুবিধা দিলেই অনেক দুর্ঘটনা কমে আসবে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সেভ দ্য রোড এর অঙ্গীকার পথ দুর্ঘটনা থাকবে না আর। আকাশ, সড়ক, রেল, নৌ-পথ
দুর্ঘটনার সংখ্যা, কারণ ও প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শাজাহান খান আরো বলেন, শুধু গাড়ির চালকদের ওপরে আইন প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য জনসচেতনতা দরকার। রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় মোবাইলে কথা না বলা, যত্রতত্র পারাপার না হওয়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। রাস্তার মাঝখান দিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাবেন, একটা গাড়ি হঠাৎ করে এসে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চালকদের দোষ, এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে।
ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনাসহ উত্তরবঙ্গগামী ট্রাক চালকদের দিনের পর দিন রাস্তায় থাকতে হয় উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তাদের বিশ্রামের জায়গা নেই, খাওয়ার জায়গা নেই, থাকার জায়গা নেই। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যাধুনিক চারটি টার্মিনাল নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেসব টার্মিনালে ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। আমি মনে করি, অবশ্যই সুফল কয়েকবছর পর পাওয়া যাবে। আগে আমাদের দাবি ছিল হাইওয়ে রোড গুলো ফোরলেন ও সিক্স লেনের, এখন কিন্তু তা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ড্রাইভারদের সুযোগ সুবিধা না দিয়ে যদি বলি বেপরোয়া গাড়ির জন্য দুর্ঘটনা হয়, এজন্য চালকরা দায়ী। আমি অস্বীকার করব না যে ড্রাইভাররা বেপরোয়া গাড়ি চালায় না। কিন্তু এজন্য ড্রাইভারদের এককভাবে দায়ী করা যাবে না। ড্রাইভারদের ট্রেনিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা দিলেই অনেক দুর্ঘটনা কমে আসবে।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য রোডের প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানাসহ অনেকেই।