সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। রাজধানী জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রাজধানীবাসী। বৃষ্টির কারণে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমেছে।
সোমবার (১২ জুন) বেলা পোনে ১১টার দিকে কারওয়ান বাজার, মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহবাগ, নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি, ফার্মগেট, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, সদরঘাট, পোস্তগোলাসহ রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অফিসগামীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
রোববারও গরমের পাশাপাশি বিকেলের দিকে আকাশ মেঘলা ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছে, দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। আজ সোমবার (১২ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, পাবনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, যশোর, খুলনা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
মনোয়ার হোসেন আরও জানান, আগামী দুই দিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে বিস্তার লাভ করতে পারে।
গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোরে এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিল ৩১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।