'দ্য ফিউচার অব সিএস ক্যারিয়ার, এআই, এমআই, সাইবার সিকিউরিটি, রোবোটিক্স' বিষয়কে নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এর যৌথ আয়োজনে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মেহদী উদ-জামান, আরিফুল হাসান অপু, মনোয়ার ইকবাল, জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি এআই, এমআই, সাইবার সিকিউরিটি, রোবোটিক্স এর নামের সাথে পরিচিত কিন্তু এগুলো কাজ কি আমি জানি না। মনে হয়, সাইবার সিকিউরিটি বিষয়টি হ্যাকিং রিলেটেড। আশা করি এই সেশনের মাধ্যমে আপনারা শিল্পভিত্তিক সমাজের ক্যারিয়ার গঠনে অনেক বেশি কাজে আসবে। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ও ভিশন অর্জনে কাজ করবে।
এসময় কি-নোট স্পিকার অ্যামাজন ওয়েভ সার্ভিসের সলিউশন আর্কিটেকচার মোহাম্মদ মেহদী উদ-জামান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আজকে যা হচ্ছে আগামী ১০ বছর পর সেইরকম থাকবে না। সেটা প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও। একসময় টেসলা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিক্রি করে দিয়েছিল, আর এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটু অংশ ক্রয় করতে চাচ্ছেন। যারা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করছেন না, তারা আগামী পাঁচ-দশ বছর পর হারিয়ে যাবে। যেমন করে হারিয়ে যাচ্ছে নোকিয়া, বাজারে নেই কোডাকের মতো নামকরা কোম্পানিগুলো। বর্তমানে কোডিং করার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হচ্ছে। ফলে কষ্ট করে এখন আর শুধু বেসিকটা ব্যতীত কোডিং এত কষ্ট করে করার কোনো দরকার নেই। এতে কোম্পানিগুলোর খরচও অনেক কমে আসছে।
পরে প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করা হয়। এসময় প্যানেল ডিসকাশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, সাইবার সিকিউরিটি, রোবোটিক্সে নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা হয়ত তাত্ত্বিক অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন, কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল নলেজের ব্যবহার অনেক কম। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ৪ বছর শুধু পড়ানোই হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে দুই বছর পড়াশোনা করলে বাকি দুই বছর কোম্পানিগুলোর সাথে কাজে যুক্ত থাকে। ফলে তাত্ত্বিক জ্ঞানও মনে রাখা সম্ভব।
এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন।