আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নিজের মামলায় নিজেই গ্রেপ্তার এসপি

নিজের মামলায় নিজেই গ্রেপ্তার এসপি

চট্টগ্রামে পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকেই গ্রেপ্তার করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে নগরীর অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এ আদেশ দেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক গ্রেপ্তারের আবেদন করেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, মিতু হত্যার ঘটনায় এসপি বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আদালত শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল আক্তার এখন কারাগারে রয়েছে। ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে গত ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেছিলেন স্বামী বাবুল। তবে দিন যেতে যেতে মামলার গতিপথও পাল্টে যায়। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী নিজেই। তদন্তে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বছরের ১১ মে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।

পরদিন ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার শ্বশুর। মামলায় আসামি করা হয় আরও সাত জনকে। তারা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। ২০১৬ সালের ২৪ জুন তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নিজের | মামলায় | নিজেই | গ্রেপ্তার | এসপি