আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

২ যাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু

২ যাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরে দুপুরে সাতজন যাত্রীসহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় যাত্রীদের বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেন সাবিকুল ইসলাম (২৫) নামের এক পর্যটক। দুজনকে উদ্ধার করতে পারলেও তিনি পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তার মরদেহ সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সোমবার (১০ জুলাই) বেলা দেড়টায় কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ভাতশালা গ্রামের পাশে বাইশ মিটার সেতু এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। তিন বছর বয়সী এক ছেলে সন্তানের বাবা সাবিকুল ইসলাম। তিনি অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীরকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রাম থেকে ছোট ডিঙি নৌকায় করে একটি গরু, দুই শিশুসহ পাঁচজন নারী-পুরুষ বাজিতপুর উপজেলার হাছানপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় অষ্টগ্রামের কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালায় ‘বাইশ মিটার সেতু’ পেরোনোর সময় স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। এদিকে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে ঘুরতে আসা পর্যটক সাবিকুল নৌকাডুবির ঘটনা দেখে সড়কে মোটরসাইকেল রেখে যাত্রীদেরকে উদ্ধার করতে পানিতে ঝাঁপ দেন। তিনি এক শিশু ও এক নারীকে উদ্ধার করে সড়কে উঠতে গিয়ে হঠাৎ হাওরের পানিতে তলিয়ে যান বলে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ২০ মিনিটের সন্ধান করে সন্ধ্যা পণে ৭টার দিকে সাবিকুলের মরদেহ উদ্ধার করে। অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক সাব অফিসার কবির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা বেলা দেড়টায় নৌদুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। বাজিতপুর থেকে ডুবুরি এলে উদ্ধার কাজ শুরু করি। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করি।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ২ | যাত্রীকে | উদ্ধার | করতে | গিয়ে | পর্যটকের | মৃত্যু