আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তরুণদের নিয়ে বিপিএল রাঙাতে চায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

তরুণদের নিয়ে বিপিএল রাঙাতে চায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

গত আসরে চট্টগ্রাম ছিলো অন্যতম শক্তিশালী দল। যদিও ভাগ্যের ফেরে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে তারা গুরুত্ব দিয়েছে তরুণদের। তৈরি হয়েছে তারুণ্যে ভরপুর এক স্কোয়াড। যে দলে ঠাঁই পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ও শামীম পাটোয়ারির মতো তরুণ উদীয়মান তারকারা।

বিদেশি বাছাইয়েও বড় কোনো তারকা পায়নি দলটি। তাদের বিশেষত্ব হলো যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার দলে রেখেছে তারা।দেশের সিনিয়র ক্রিকেট তারকাদের দিকে নজর দেয়নি চট্টগ্রাম। ড্রাফটে তরুণদের দিকে বেশি ঝোক ছিলো চট্টগ্রামের। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও আকবর আলিকে দলে নিয়েছে তারা। চোটের কারণে সেই বিশ্বকাপ খেলতে না পারা পেস অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীও গেছেন তাদের দলে।

শুরুতেই নাম লিখিয়েছেন জাতীয় দলের স্পিনার নাসুম আহমেদ। এরপর একে একে দলটি, স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদে। সরাসরি সাইনিং করা যে তিনজন বিদেশিকে তারা দলে নিয়েছে তাদের কেউই বড় কোনো তারকা নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইসের সঙ্গে আছে ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল ও উইল জ্যাকস। বাংলাদেশের মন্থর উইকেট বিবেচনায় তারা কেমন করবেন সেই প্রশ্ন তোলাই যায়।

পেস আক্রমণে রেজাউর রহমান রাজা, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরাও তরুণ। জাতীয় দলের আফিফ হোসেন ধ্রুব নিশ্চিতভাবেই সেরা পছন্দ। তবে তাকে সরাসরি না নিয়ে ড্রাফট থেকে দলে ভিড়িয়েছে চট্টগ্রাম।

অনেক তরুণের ভিড়ে দেশের ক্রিকেটের অভিজ্ঞদের একজন নাঈম ইসলামকে দলে নেওয়ায় বেশ চমকের। মূলত দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে প্রমাণিত ব্যাটার, নাঈমের টি-টোয়েন্টি স্কিলে আস্থা রেখেছে তারা। আস্থা রেখেছে ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোথাও ছন্দ রাখতে না পারা সাব্বির রহমানের উপরও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিবেচিত না হলেও ঘরোয়া পর্যায়ে মেহেদী হাসান মিরাজ রাখতে পারেন বড় ভূমিকা। তার চার ওভার অফ স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও কাজে লাগবে চট্টগ্রামের।

বিদেশিদের মধ্যে ড্রাফট থেকে দুই ক্যারিবিয়ান চ্যাডউইক ওয়ালটন ও রায়াদ এমরিটকে বেছেছে চট্টগ্রাম। দুজনই মাঝারি মানের খেলোয়াড়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বড় চ্যালেঞ্জ অধিনায়ক বাছাই। সিনিয়র হিসেবে নাঈম পেতে পারেন দায়িত্ব। তবে টি-টোয়েন্টির ছন্দ বিচারে তার আগে একাদশে জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে, সাব্বির কোনো পর্যায়েই অধিনায়কত্ব করেননি। তার সম্ভাবনা তাই নেই।

তবে নাম আসবে মিরাজ ও আকবরের। দুজনেই যুব পর্যায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিরাজের বিপিএলেও অধিনায়কত্বের নজির আছে। এই দুজন থেকে কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সরাসরি চুক্তিতে দেশি ক্যাটাগরিতে মোট ১১ ক্রিকেটার দলে টেনেছে চট্টগ্রাম। দেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকে চট্টগ্রামের খরচ হবে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বিদেশিদের ড্রাফটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাডউইক ওয়ালটন ও রায়াদ এমরিতকে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে দুজনই ৪০ হাজার ডলার করে পারিশ্রমিক পাবেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পারিশ্রমিক প্রায় ৪ কোটি টাকার। যা খরচের দিক থেকে পাঁচ নম্বরে রয়েছে চট্টগ্রাম।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তরুণদের | নিয়ে | বিপিএল | রাঙাতে | চায় | চট্টগ্রাম | চ্যালেঞ্জার্স