প্রতিদিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বর্তমানে ঢাকার সবগুলো সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও প্রতিদিন যত রোগী ভর্তি হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই ডেঙ্গু আক্রান্ত। এমন অবস্থায় ঢাকার দুই সিটির ১১ এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
যে ১১টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) রয়েছে ছয়টি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) পাঁচটি।
এলাকাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর, সবুজবাগ, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।
অন্যদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২ জুলাই সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন। এরমধ্যে রাজধানীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৩৯ জন। অর্থাৎ ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে রোগী বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলি, জুরাইন, ধানমন্ডি এবং বাসাবো এলকায় আক্রান্তের হার বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও এবং বাড্ডা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
এর আগে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ৮০০ শয্যার ডিএনসিসি হাসপাতালকে ‘ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়, চালু করা হয় হটলাইন সেবা।