বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। এসময় আমানের আশপাশে থাকা বিএনপির কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে তাকে পুলিশের জিপে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটকের আগে আমানউল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, তারা পুলিশকে জানিয়েছে কর্মসূচি পালন করবে। তারা এসব কর্মসূচির নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কর্মসূচি শুরুর চেষ্টার পর থেকেই পুলিশ তাদের হয়রানি করতে শুরু করে।
পুলিশের উপকমিশনার (মিরপুর বিভাগ) জসিম উদ্দীন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আমানকে গ্রেপ্তার নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে।
এদিন গাবতলীতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি চলছিলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। ওই সময় দুইদলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আমান উল্লাহ আমান অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। তখন পুলিশ তাকে সেখান থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে গাবতলীতে ঢাকার প্রবেশমুখ এলাকায় অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্লোগান দিচ্ছেন।
বিএনপির ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির একই দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকাল থেকেই শক্ত অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করেছে দলটি।
মহাসমাবেশ থেকে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
এরপর রাতে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষ থেকেও শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে কাউকে সড়ক অচল করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
