আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

তারেক রহমানের ৯, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড

তারেক রহমানের ৯, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড
২ কোটি ২৩ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নয় এবং তার স্ত্রী ডাক্তার জোবায়দা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বিকেল ৩টার পর তাদের রায় পড়া শুরু হয়। মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হয়েছেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান এবং জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানু। তারা এসব সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি। এমন অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মাকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গেলো বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়েরসহ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গেলো ২৭ জুলাই আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়। এরআগে ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সবশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তার আগে গেলো ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি শুরু হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে সব পর্যালোচনা করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ১৮টা এক্সিবিটের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে পেরেছেন ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা আসামীরা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। আর ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তবে তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুমারা যাওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তারেক | রহমানের | ৯ | জোবায়দার | ৩ | বছরের | কারাদণ্ড