বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ১২ নদীর পানি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার সমান্তরাল ও কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, ১২ নদীর পানি বাড়লেও দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এ অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা বেশি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠির বিশখালী নদীর বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিশখালী নদীর বিপদসীমার দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপদসীমার দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপদসীমা দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমা সমান্তরাল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর-পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, আমতলীর বুড়িশ্বর-পায়রা নদীর পানি দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর বিপদসীমার দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, কাইটপাড়া লোহালিয়া, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ১২ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
