বর্তমান সরকার শুধু ইয়েস শুনতে চায়। তারা গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করতে পারে না। এ কারণেই চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ারসহ সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ করতে চায়। সেজন্যই দেশের প্রকৃত সত্য বা বাস্তবতা বুঝতে পারে না সরকার। বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) জাপা চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন এ্যাশকে শুভেচ্ছা জানানো শেষে বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে নিজস্ব লোক নিয়োগ করলে সরকারের উপকার হয় না, এটাও সরকার বুঝতে চায় না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, পেশাজীবী সংগঠনগুলো করা হয় একটি উদ্দেশ্য থেকে। যেমন কখন কোন পণ্য আমদানি করতে হবে, কোন পণ্যের কত দাম হবে এবং ব্যবসায়ীরা কি পরিমাণ ব্যবসা করবে তা নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলো হেল্পিংহ্যান্ড হিসেবে সহায়তা করতে পারে। এভাবে প্রতিটি সেক্টরের পেশাজীবী সংগঠনগুলো সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারে।
পেশাজীবী সংগঠনগুলোয় কোন দল বা কোন মতের লোক নির্বাচিত হবে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বেও দলীয়করণ করা হচ্ছে। দলের প্রতি আনুগত্য ভুলে পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের আলোচনা করতে হবে সরকারের সাথে। সকল পেশাজীবী সংগঠন তৈরি করা হয় জনগণের কল্যাণের জন্য।
জিএম কাদের বলেন, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। কারণ, সরকার সকল পেশাজীবী সংগঠন দলীয়করণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে। এখন সরকার যা বলছে, পেশাজীবী সংগঠনগুলো ‘ইয়েস স্যার’ বলছে। জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারকে সমর্থন দিতেই ব্যস্ত হয়ে থাকে।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএম/
