আর্কাইভ থেকে স্বাস্থ্য

মিথ্যা পরিচয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন, যা জানাল তদন্ত কমিটি

মিথ্যা পরিচয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন, যা জানাল তদন্ত কমিটি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনে মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপনে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন কিডনি দাতা। তবে এ ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে প্রত্যেককেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গেলো ১৭ জুলাই বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অত্যন্ত সফলভাবে দক্ষতার সঙ্গে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯ জুলাই একাধিক পত্রিকায় এ বিষয়ে কিডনি দাতার মিথ্যা পরিচয় নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে এ বিষয়ে হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিভ ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যাল্ট সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরীকে সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি এ বিষয়ে কয়েকটি সভা করে। এছাড়া কিডনি দাতা, গ্রহীতা, তাদের আত্মীয়স্বজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা, কিডনি প্রতিস্থাপন টিমের প্রধান, কিডনি প্রতিস্থাপন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধানের সাক্ষাৎকার নেয়। তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, কিডনি দাতা মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। তবে এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ডাক্তার, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন স্তরে যাচাই-বাছাই করে, কমিটির সুপারিশ ও বিজ্ঞ আদালতের সম্মতিপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে কিডনি দাতা নির্বাচিত হন। এরপর চিকিৎসকের কাজ দক্ষতার সঙ্গে অপারেশনের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করা। এছাড়া আর কোনো যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ নেই। এ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কিডনি দাতা ও গ্রহীতার যেসব আইনগত কাগজপত্র দরকার যেমন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, বৈবাহিক সনদপত্র, সাক্ষী সেগুলো পাওয়া গেছে। তাই কিডনি প্রতিস্থাপন মেডিকেল বোর্ডের প্রধানের দাতার পরিচয়ের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ ছিল না। তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাখা ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত নথিপত্র সঠিক। দাতার মিথ্যা পরিচয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া কিডনি দাতা ও গ্রহীতা নিজেদের স্বার্থে এবং কিডনি গ্রহীতার নিজ জীবন বাঁচাতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। যেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো কিছু করার সুযোগ ছিল না। সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপনসহ সব ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব মহলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের জন্য অনুরোধ করা হলো। দেশের সব নাগরিককে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিথ্যা | পরিচয়ে | কিডনি | প্রতিস্থাপন | জানাল | তদন্ত | কমিটি