বুধবার রাতে ধানমন্ডির বাসায় নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন নায়ক রিয়াজের শ্বশুর ব্যবসায়ী মহসীন খান। ঘটার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিআইডি দল। বিষটি নিয়ে তদন্ত করা হবে। জানালেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোন চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলে আমাদের টিম যায়। আমাদের টিম কাল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তথ্য প্রমাণ আসার পর বলা যাবে, কেন এ ঘটনা।
মুক্তা ধর বলেন, প্রত্যেটি বিষয় সিআইডি ছায়া তদন্ত করে। মামলার তদন্তের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেসব বিষয় সামনে আসে সেই আলোকে সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের টিম কোনও ক্লো পেলে আপনাদের জানানো হবে।
বুধবার ((৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া নয়টার দিকে নিজের হতাশা কথা জানিয়ে নায়ক রিয়াজের শ্বশুর মহসিন আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার আগে ভিডিও লাইভে মহসিন তার সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনা আর রোশনকে বলবো- বাবা তোমরা একটা ভাই একটা বোন। একেঅপরের খুঁজ নিও। বাবা হিসেবে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
তিনি আরও বলেন আমার একমাত্র ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকে। খালা মারা যাবার পর আমার ভয় করছে। আমি আমার বাসায় একা থাকি। আমি মরে গেলে কেউ জানতেও পারবে না।
তিনি বলেন, আমার আত্মীয়রা যারা আছেন, তাদেরকে বলবো তারা আমাকে ক্ষমা করবেন। যারা লাইভে দেখছেন তাদের সাথে আমার শেষ দেখা।
তিনি বলেন, আমার আসলে পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রতারিত হয়েছি। আমি এ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রতারিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মারা খালা মারা যান তার ছেলে আমেরিকায় থাকে, কিন্তু আসেনি।আমাকে এটি কষ্ট দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত করোনা শুরু আগে আমি দেশে থাকি। একা থাকা যে কত কষ্ট তা আমি বুঝি।
মহসিন বলেন, আমি যা করেছি তা নিজের চেষ্টায় করেছি। পৃথিবী বেঁচে থাকতে আর ইচ্ছে হচ্ছে না। আমি যদি ফেসবুক লাইভে না আসি আমি মরে গেলে কেউ বলতেও পারবে না।
তিনি বলেন, যারা লাইভে দেখছেন, আমার আত্মীয়রা সাবই আমাকে মাফ করে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে সন্তানদের বুঝা উচিত বাবারা না খেয়েও সন্তানকে মানুষ করে। ফ্যামিলি অনেক সময় বুঝতে চায় না। কেন বুঝে না তা আসলে আমিনিজেকে মানিয়ে নিতে পারলাম না।
মহসিন বলেন, যেহেতু বাবা আমাকে কিছু দেয়নি, তাই যে কবরস্থান করেছি সেখানেও দাফন করোনা। আমাকে মোহাম্মদপুর বেরিবাঁধে আমাকে দাফন করো। আমি আমার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করছি।