থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাই বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে সরাসরি ব্যাংককের কারাগারে যেতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে আজ সকাল ৯টার দিকে ব্যক্তিগত বিমানে ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নেয়া হয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে। সেখানে চারটি মামলার শুনানি শেষে আদালত তাঁকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন। দণ্ডাদেশ শেষে তাঁকে নেয়া হয় ব্যাংককের একটি কারাগারে।
সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ডন মুয়াং বিমানবন্দরের প্রাইভেট রানওয়েতে অবতরণ করে থাকসিনকে বহনকারী বিমানটি। একটু পরই গাঢ় নীল রঙের স্যুট এবং গোলাপি টাই পরিহিত অবস্থায় বিমান থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। তাঁকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই থাকসিনের মেয়ের নেতৃত্বাধীন ফেউ থাই পার্টির নেতা-কর্মী।
বিমান থেকে বেরিয়ে তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে টার্মিনাল ভবনের দিকে এগিয়ে যান থাকসিন। পরে টার্মিনাল ভবনের পাশে স্থাপিত থাই রাজার প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে টার্মিনালের বাইরে উপস্থিত হাজারো মানুষের উদ্দেশে প্রথমে হাতজোড় করে এবং পরে এক হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
টেলিকম ব্যবসায়ের মাধ্যমে দেশটির শীর্ষ ধনকুবের বনে যান থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২০০১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। পরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। অবশ্য মাঝে একবার ২০০৮ সালে তিনি থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে থাকসিনের অনুপস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে চারটি মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন।