৭৫-এর অসমাপ্ত কাজ খুনিরা ২০০৪ সালে করার চেষ্টা করেছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্তও করতে চায়নি বিএনপি, তারা পুরো ঘটনা নিয়ে নাটক রচনা করেছে। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির নিকৃষ্টতম উদাহরণ, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিনটি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট বিকেলে নারকীয় সে হামলার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার যেসব বৈরী আচরণ করে তা ইতিহাসে বিরল। যদিও এখন দায় এড়াতে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে না, সাহস থাকলে নির্বাচনে আসুন।
একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চরম মিথ্যাচার করছেন। ৭১, ৭৫ এবং ২০০৪ একই সূত্রে গাঁথা। বিএনপি-জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী সংগঠন যখন দেশে থাকে তখন দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ওই হামলার আলামত নষ্ট, হামলার পর পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং চিকিৎসা সেবা বন্ধই প্রমাণ করে সেই হামলায় প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল মিথ্যাচার করছেন আর খালেদা বলেছিলেন, ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড আনেন হাসিনা।
২১ আগস্টের রক্ত বৃথা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হানিফ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে মন্তব্য করেন নেতারা। ২১ আগস্টের হামলায় শুধু আওয়ামী লীগ কর্মীরা হতাহত হননি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিও।
একইদিন দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় দেশটির সরকারের অবস্থান প্রকাশ পাওয়ায় বিএনপি কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে কারা ক্ষমতায় থাকবে বা থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক জনগণ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চরম মিথ্যাচার করেছেন। এমন একটি হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে তিনি সাজানো ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। যা এত জঘন্য কুৎসিত ঘৃণ্য মন্তব্য, অবাক লাগে। এ ধরনের মন্তব্যই প্রমাণ করে, তারা কিছু একটা করতে চায়।