বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের বিচার ব্যবস্থায় গত কয়েক বছর ধরে ডিজিটাইজেশনের সুবাতাস বইছে। বছর দুয়েক আগে উদ্বোধন করা হয়েছিল- ‘আমার ভাষা’ সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় বাংলা ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে। একই বছরে চালু হয়েছিল ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং; যাত্রা শুরু হয়েছিল জুডিশিয়াল ড্যাশবোর্ড, মাই কোর্ট অ্যাপ এবং অনলাইন কজলিস্ট-এর মতো প্রযুক্তির। বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার ও নব উদ্ভাবিত ৯টি কোর্ট প্রযুক্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় নির্দেশনায় বিচার বিভাগেও বিভিন্নমুখী ডিজিটাইজেশন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও জনবান্ধব ও সহজীকরণ করতে তার আন্তরিক ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আমরা প্রত্যাশা করি, স্মার্ট বাংলাদেশে বিচার বিভাগও একটি স্মার্ট বিচারবিভাগ হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় করোনা মহামারিকালীন মানুষের ন্যায়বিচার নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং কারাগারে বন্দির সংখ্যাধিক্ষ্য বিবেচনা করে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ জারি করা হয়, যা পরবর্তীতে সংসদে পাশ হয়। এ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়, যা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকার বিশ্বাস করে- আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারপ্রাপ্তির অধিকারকে অব্যাহত রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য।