দেশে বছরে ৬ লাখ টন ইলিশ ধরা পড়ে। তাই ভারতে এটি সর্বোচ্চ রপ্তানি করা হবে ৫ হাজার টন। বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন মাছ দিব ভারতকে, অর্থাৎ সারাবছরের মধ্যে ২দিনের উৎপাদন আমরা তাদের দুর্গাপূজার উপহার স্বরূপ ভারতকে পাঠাবো।
এছাড়াও বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার ডিম-আলুসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম বেধে দিয়েছে সরকার। দাম না কমলে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫, ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯, খোলা সয়াবিন ১৪৯, পাম ১২৪, খোলা চিনি ১২০ ও প্যাকেটজাত চিনির দর ঠিক করা হয়েছে, ১৩৫ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে, চিনি আমদানি করা হবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ বাজার মনিটর করা হবে। ভোক্তা অধিকারের পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কৃষি বিভাগ।
এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাচ্ছেন ৯৬ ব্যবসায়ী। প্রাথমিকভাবে এ তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রত্যেক ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাবেন। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে একশ ব্যবসায়ী আবেদন করেন। এদিকে দুর্গাপূজা শুরু হবে অক্টোবরের শেষ ভাগে। অক্টোবরে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গেলো বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর থেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার তাই আগেভাগেই ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেবে বলে জানা গেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে কিনা, তা নজরদারিও করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে ভারতে আবার ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়।