আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাদের লাজ-লজ্জা কিছু নেই, তারা নিজেদের বলে জনগণের ভোটে নাকি নির্বাচিত সরকার। বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যদি ভোট ছাড়া সরকার গঠন করা যায়, পুলিশ দিয়ে সরকার গঠন করা যায়, তাহলে ভোটের কী দরকার? কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতন করে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। আমরা ইতিহাস থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছি।
তিনি বলেন, একজন কূটনৈতিক বলেছেন যে, এই দেশের যুবসমাজ পরপর তিনবার ভোট দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ। এই যুবসমাজ গত ১৫ বছর কোনো ভোট দিতে পারেনি। একসময় আমার ভোট আমি দিতাম, এটা এখন গল্প করে বলতে পারব। মানুষ চায় তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে। আর আমরা সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র এই সরকার নয়। এই সব প্রশাসনের অধীনেও কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। অর্থাৎ প্রশাসনের সব স্তরে আওয়ামী লীগ খুঁটি গেড়ে বসেছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকেরাই প্রশাসনে রয়েছে। সুতরাং তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না এবং হতে দেব না। আর এ কারণেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হবে। তাই বলব যে, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। সময় থাকতেই জনগণের হাতে ক্ষমা ছেড়ে দিন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন।