পরীমনির পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ পত্র পাঠানোর ৫ দিন পর আজ জুমার নামাজের আগে ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়েছেন শরিফুল রাজ। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, প্রাপ্তির খবরটি। তাই নয়, প্রাপ্তিস্বীকারের ফাঁকে প্রকাশ পেয়েছে স্বস্তির বিষয়টিও! কারণ, লম্বা সময় ধরে পরী সুতোই ঝুলে ছিলেন রাজ।
ফলে লম্বা প্রতীক্ষার পর পরীর পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ পত্র হাতে পেয়ে রাজ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। বললেন, আমার সাবেকের পাঠানো চিঠি হাতে পেয়েছি। না এখানেই থামেননি। বরং পরীর এই চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ‘সম্মান’ জানালেন। বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ... তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।’
পুত্র রাজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেয়ার জন্য। রাজ্যের জন্য যা কিছু ভালো, বাবা হিসাবে আজীবন তা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
যদিও রাজের এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই পরীমনি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে রাজ্যর সব দায়-দায়িত্ব-খরচ মা হিসেবে একাই বহন করবেন তিনি। যেখানে আর কোনো অংশীদারিত্ব চান না। তেমন সিদ্ধান্তের একদিন পর রাজের এমন আলাপ কতোটা আবেগ ছড়াবে পরীর পোক্ত মনে, সেটা বলা মুশকিল।
ফাঁকে শরিফুল রাজ তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে একটা অনুরোধও রেখেছেন। বলেন, আমার বাচ্চার মায়ের অসম্মান হয় এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। একই সঙ্গে আগামীতে আমার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার থাকবে, সেই চেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি।
জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজের কাছে বিচ্ছেদ পত্র পাঠান পরীমনি। সেটি ২১ সেপ্টেম্বর নিশ্চিত করেন নায়িকা নিজেই।
মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। গেলো বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে আসে পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।