লক্ষ্য ছিলো আরো দশ পয়েন্ট অর্জন করার। তাতে আইসিসি সুপার লিগের শীর্ষস্থান আরো বেশি মজবুত করার। কিন্তু বাস্তবতার স্বপ্নটা কেমন যেন খাবি খাচ্ছিলো। তবে শুরুর দিকটা খারাপ ছিলো না। ভালোই খেলছিলেন লিটন দাস। ম্যাচকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও দুইশো ঘর পার করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯২ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিদায়ের পর লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিলো টাইগাররা। এরপরই কি যেন হলো। হঠাৎ ধস, সেখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি মুশফিক-ইয়াসির আলি-আফিফরা। তাতেই শেষ হয়ে যায় বড় পুঁজির সম্ভাবনাও।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তে নেয় টাইগার অধিনায়ক। সতর্ক শুরুর পর দলকে প্রথম অস্বস্তি উপহার দেন তামিমই। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এদিনও বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির আড়াআড়ি বল খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল তার। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে তফাৎ হলো এবার এলবিডব্লিউর বদলে বোল্ড হন তামিম। ২৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
লিটনের সঙ্গে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য ভালো জুটি পান সাকিব আল হাসান। ৬৯ বলে তাদের জুটিতে আসে ৬১ রান। থিতু হওয়া সাকিব ফেরেন আয়েশি এক শটে। আজমতুল্লাহ ওমরজাইর বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে সাকিব করেন ৩০ রান।
প্রথম ম্যাচের হিরো আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। আফিফকে ফেরান নাবি, মিরাজ ফেরেন রান-আউট হয়ে। তাসকিন আহমেদকে তুলে নেন রশিদ খান। শেষ পর্যন্ত ৪৬ ওভার ৫ বলে ১৯২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। আফগান স্পিনার রশিদ খান ৩টি এবং মোহাম্মদ নাবী শিকার করেন দুই উইকেট।
লক্ষ্যটা মাত্র ১৯৩ রান। বর্তমান সময়ে তা মোটেও আহামরি নয়। ফলে ফলাফল যা অনুমেয় ছিল, সেটাই হলো। অনায়াসে তা ছুঁয়ে ফেললো আফগানিস্তান। তাও আবার ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের অপরাজিত শতরানের ইনিংসে ভর করে। যে ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি প্রথম দুই ম্যাচে তারাই কিনা জয়েরদিন ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছে সাকিব-তাসকিনদের উপর।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন এই ব্যাটার। ১১০ বলে ৭টি চার এবং চার মারেন ছয়বার। এছাড়াও রহমত শাহ খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। ম্যাচের ৫৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
আগামী ৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। একদিন বিরতি দিয়ে ৫ মার্চ (শনিবার) হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। খেলা হবে হোম অব ক্রিকেটখ্যাত মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
হাসিব মোহাম্মদ