পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান রূপপুরে পৌঁছেছে।
ঢাকা থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইউরেনিয়ামবাহী গাড়ি রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছলে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি ও রুশ নাগরিকরা স্বাগত জানায়।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাশিয়া থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছায় দ্বিতীয় চালানের ইউরেনিয়াম। প্রথম চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান জ্বালানি সড়কপথে রূপপুরে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচটি চালান দেশে আসবে বলেও তিনি জানান।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০২৪ সালের মার্চে প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা। পরের বছর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুটি ইউনিট চালু হলে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে বিমানে করে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ঢাকায় আসে। পরে কড়া নিরাপত্তায় সড়কপথে রূপপুর আনা হয়। গেলো বৃহস্পতিবার আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাছে রাশিয়া জ্বালানি সনদ হস্তান্তর করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
