আরও ৪৯ কোম্পানির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ এই চীনা কোম্পানিগুলো রাশিয়াকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বস্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পকে সরবরাহ করছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকা দীর্ঘ করার ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা এমন একসময়ে এলো যখন হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠক আয়োজনের তোড়জোড় করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা অ্যালান এস্তেভেজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো পণ্য যেগুলো নির্মাণের প্রাথমিক ধাপ যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো রাশিয়ার কাছে বিক্রয় করলে আমরা তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দ্বিধা করব না, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানেই অবস্থিত হোক না কেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টা মূলত দেশটিতে উৎপাদিত প্রযুক্তিপণ্য যেন কোনোভাবেই রাশিয়ার সামরিক ঠিকাদারদের হাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। বিশেষ করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের লক্ষ্যকে নির্ভুল করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ এক্সেলরড জানিয়েছেন, শুক্রবার যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোই মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত প্রযুক্তিপণ্য রাশিয়ার কাছে বিক্রি করার অন্যতম মাধ্যম।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত এই নিষেধাজ্ঞার তালিকা একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—আপনারা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎপাদিত কোনো পণ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে সরবরাহ করার চেষ্টা করেন, তবে আমরা সেটি খুঁজে বের করব এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’