আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

গাজায় খাবার-জ্বালানি বন্ধ করছে ইসরায়েল

গাজায় খাবার-জ্বালানি বন্ধ করছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলায় বিদ্ধস্ত এখন ইসরায়েল। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলে ৫ হাজার মিসাইল ছুড়েছে হামাস বাহিনী। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়ে ফিলিস্তিন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলও যুদ্ধ ঘোষণা করেছে হামাসের বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত আট শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। এতে বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা এএফপির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এব বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন বলছে,  গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত ৬৮৭ জনের মরদেহ এসেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় এই অঞ্চলজুড়ে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩ হাজার ৭২৭ জন। গাজা সম্পূর্ণ অবরোধ করার অর্থ হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল। সোমবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই সেখানে বন্ধ থাকবে। ’ শনিবার থেকেই গাজায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ করা শুরু হয়েছে। এদিকে, ইসরায়েল সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা এবং জলসীমায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বল্প সময়ের নোটিশে দেশের ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে সক্রিয় ডিউটিতে ডেকে পাঠিয়েছে। স্থল হামলার আগাম সতর্কতা হিসেবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের মুঠোফোনে কল করছেন এবং অডিও বার্তা পাঠাচ্ছেন। বিশেষ করে গাজার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের কাছে এ বার্তা পাঠিয়ে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল বাহিনী সেখানে হামলা শুরু করতে পারে। এদিকে ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরি ইউএসএস জেরার্ল্ড ফোর্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ওই অঞ্চলের দিকে যাত্রা করেছে। কেএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজায় | খাবারজ্বালানি | বন্ধ | করছে | ইসরায়েল