বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলার কথা শুনলেই মাথায় আসে ২০০৭ বিশ্বকাপের কথা। কুইন্স পার্ক ওভালে শক্তিশালী ভারতকে সেবার বাংলাদেশ হারিয়েছিল ৫ উইকেটে।
ভারতের অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোটামুটি ধাক্কা খেয়ে বসে ভারত। মাশরাফির বলে এজ হয়ে ফিরে যান বিরেন্দর শেবাগ। দলীয় মাত্র ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
এরপর দলের রান যখন ২১, তখন দ্বিতীয় উইকেট এবং দলীয় ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বসে ভারতীয় দল। এরপর সৌরভ গাঙ্গুলি ও যুবরাজ সিং কিছুটা চেষ্টা করেন দলকে টেনে তুলতে। কিন্ত খুব বেশিদূর যাওয়া হয়ে ওঠে না ভারতের, ১৯১ রানেই অলআউট হতে হয়। ঐ ম্যাচে মাশরাফি বিন মর্তুজা একাই নেন ৪ উইকেট। আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক প্রত্যেকে নেন ৩ টি করে উইকেট।
১৯২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। এদিন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা তামিম ইকবাল ৫৭, মুশফিকুর রহিম ৫৬ ও সাকিব আল হাসান ৫৩ রান করে দলের জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। সেবার ভারতকে হারিয়ে ইতিহাসই ঘটায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ভারতকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সাথে হারলেও, বারমুডাকে পরাজিত করে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলে।
এই স্মৃতিচারণ করার কারণ সম্প্রতি ভারতীয় একটি স্পোর্টস চ্যানেল বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার ম্যাচকে নিয়ে রীতিমতো টাইগারদের ট্রল শুরু করেছে। ভারতীয়রা এই ম্যাচটার কথা ভুলে যায় কিভাবে!
যদিও বিশ্বকাপের মঞ্চে ঐ জয়ের পর আর জয় তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সব শেষ ওয়ানডে সিরিজ ও এশিয়া কাপের দেখায় টাইগারদের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে।
এসব পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে কিছুটা আত্মবিশ্বাস যোগালেও চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও পরের দুই ম্যাচেই হেরেছে বাজে ভাবে। এছাড়াও বাংলাদেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সব শেষ ম্যাচে পড়েছেন হাল্কা চোটে। তাই ভারতের বিপক্ষে তাঁকে নিয়ে দেখা দিয়েছে কিছুটা অনিশ্চয়তাও। তবে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে খেলাতে চান সাকিব।
অন্যদিকে স্বাগতিক দেশ ভারত এই মুহূর্তে আছে ফর্মের তুঙ্গে। তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই পেয়েছে জয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেলে সেমিফাইনালের রাস্তাটা হয়ে যাবে বেশ সহজ।
বাংলাদেশ বনাম ভারতেই লড়াইটা শুরু হবে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়। এই মুহূর্তে ধারেভারে যে ভারত এগিয়ে আছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে সাকিব-মিরাজ-শান্তরা নিশ্চয় ছেড়ে কথা বলবে না রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে।