শিরোনাম পড়লে অতীতের অনেক ঘটনাই মনে পড়ে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হার। কিংবা ২০০৩ সালে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের কারণে টেস্টে প্রথম জয় থেকে বঞ্চিত হয়েছিলো খালেদ মাহমুদ সুজনরা। শুধু তাই নয়, রঙিন পোশাকেও বিবর্ণতার ছাপ বহুবার দৃশ্যমান হয়েছে মাশরাফি-মুশফিকদের চোখে-মুখে।
এবার যোগ হলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মাত্র ৪ রান করতে পারলেই আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় পেতো বাংলাদেশ। সেটি আর হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হতে হলো বাঘিনীরা।
১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানে ফিরে যান ওপেনার শামিমা সুলতানা। ৩০ রানের মাথায় ১৭ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার শারমিন আক্তারও। এরপর ৩০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করছিলেন ফারজানা হক ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
তবে ৬০ রানের মাথায় ফিরে যান ৩ বাংলাদেশি ব্যাটার। ফারজানা ২৩ রান করে আউট হলেও ০ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন রুমানা আহমেদ ও রিতু মনি। ৮৫ রানের মাথায় ফিরে যান নিগার সুলতানা ও ফাহিতা খাতুনও। দলীয় ১১০ রানে ব্যক্তিগত ২৩ রান করে ফিরে যান সালমা খাতুন। দলের স্কোরবোর্ডে আর ১২ রান যোগ করতেই নবম উইকেট হিসেবে বিদায় নেন জাহানারা আলম। শেষ উইকেট জুটিতে ফারিহা তৃষ্ণাকে নিয়ে জয়ের পথেই যাচ্ছিলেন নয় নাম্বারে নামা নাহিদা আক্তার।
১২২ রান থেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন ১৩৬ রানে। এর মধ্যে কোনো রান করতে পারেননি তৃষ্ণা। শেষ পর্যন্ত তৃষ্ণা আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়। ফাহিমা খাতুন অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান তোলে ক্যারিবিয়ানরা। দলের হয়ে উইকেটরক্ষক শেমাইন ক্যাম্পবেল করেন হার না মানা সর্বোচ্চ ৫৩ রান।
বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ে উজ্জ্বল সালমা খাতুন ও নাহিদা আকতার। রান দেয়ায় কৃপণতা দেখিয়ে দুজনেই শিকার করেন দুইটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন জাহানারা আলম, রিতু মনি ও রুমানা আহমেদ।
হাসিব মোহাম্মদ