রাজধানীর মহাখালীর আমতলীর খাজা টাওয়ারের ১৪ তলা ভবনের ১৩ তলায় লাগা আগুন তিন ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে বর্তমানে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তায় এরই মধ্যে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী ছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৫৮টার দিকে ১৪ তলা বিশিষ্ট ওই ভবনটির ১৩ তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ইতোমধ্যেই ভবনটিতে আটকে পড়া পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রাত ৮টায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। পাঁচজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ১৪ তলা ভবনটির ছাদে রশি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেটা ধরেই ভেতরে আটকে পড়া লোকজন একে একে নীচে থাকা পাশের ভবনের ছাদে নেমে আসছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পরপর ভবনটির বিভিন্ন তলায় কাজ করা ব্যক্তিরা আতঙ্কে ছাদে চলে যান। পরে তারা সেখানে থাকা রশি ও টাওয়ারের সঙ্গে লেগে থাকা ইন্টারনেটের লাইনের তার বেয়ে পাশে থাকা একটি ভবনের ছাদে নামার চেষ্টা করেন। ওই সময় এক নারী নামার চেষ্টা করলে পাশের ভবনটি থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য কম্বল নিয়ে আসতে আসতেই তিনি পড়ে যান। এতে গুরুতর আহত হন।
এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিতে ডেটা সেন্টার থাকায় ইতোমধ্যেই রাজধানীর প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতির ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, মহাখালীতে আগুনের কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আরও বন্ধ হবে।
অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। এতে অগ্নি-নির্বাপণে নিযুক্ত কর্মীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে গ্যাসের কারণে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ভবনটির আশপাশের পুরো এলাকায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, খাজা ভবনে তিতাসের কোনো গ্যাস সংযোগ নেই। তারপরও বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে ভবনটির আশপাশের সব গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
এএম/