দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তিনশ আসনেই প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করছি। জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী। তিনি বলেন,
বুধবার (০৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, আমরা জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা হত্যার রাজনীতি সহিংসতাকে সমর্থন করি না। সুষ্ঠু রাজনীতি হবে সুশানসের ভিত্তি। নির্বাচনে কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা অক্ষরে অক্ষের পালন করবে এটা আমাদের দাবি।
তিনি আরও বলেন, দলীয় নিয়ম নীতি মেনে দল পরিচালিত হবে। প্রাইভেট কোম্পানি হবে না। তৃণমূল বিএনপি হবে বাংলাদেশের তৃণমূল কংগ্রেস।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা কেন্দ্র থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেব না, বরং তৃণমূলের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র বাস্তবায়ন করবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী, যাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, স্থানীয়ভাবে জুলুম-নির্যাতনের অভিযোগ নাই এমন ব্যক্তিদের জন্য তৃণমূল বিএনপির দরজা সব সময় খোলা।
তারা বলেন, তৃণমূল বিএনপিকে এমনভাবে সংগঠিত করতে চাই যাতে করে শুধু রাজনীতি নয়, বরং স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসংখ্য নেতাকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা, তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন ও মিডিয়া উইং চীফ সালাম মাহমুদ।
সঞ্চালনা করেন তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খান। সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মজুমদার।