দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধনের জন্য নরসিংদীতে আগমন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কারখানাটি উদ্বোধন করার পর মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় যোগ দিবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নরসিংদীতে আওয়ামি লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের জমায়েতের আশা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সবশেষ ২০০৪ সালে নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৯ বছর পর আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর নরসিংদী আগমনে খুশি দলীয় নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এখন পুরো নরসিংদী সাজ সাজ রব। সড়ক মহাসড়কের আশেপাশে বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টে ছেয়ে গেছে। আনন্দের শেষ নেই নেতা কর্মীদের মাঝে। সমাবেশ ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগ নিচ্ছে নানা প্রস্তুতি। চলছে পাঁচ লাখের অধিক মানুষ জমায়েতের বিশাল কর্মযজ্ঞ। জেলা,উপজেলা আওয়ামি লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিপুল জনসমাগম ঘটাতে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারে করছে বর্ধিতসভা।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পিরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীসহ নরসিংদী জেলাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। জেলা,উপজেলা, ইউনিয়ন সহ প্রত্যেক স্তরের নেতাকর্মী নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। ন্যূনতম পাঁচ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। ৫০ হাজার জনগণের বসার ব্যবস্থা আমরা করছি।
১২ নভেম্বর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পলাশ ও নরসিংদী শহরে স্থাপন করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। ঐদিন দায়িত্ব পালন করবে সাত হাজার পুলিশ সদস্য, একশত র্যাব সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।
নরসিংদীর পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নরসিংদীকে আমরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেবো। পুরো প্রক্রিয়ায় আমাদের সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে জেলা জুড়ে। এছাড়া একশত দশ জন র্যাব,ট্র্যাফিক,সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা নিশ্চিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যা যা করণীয় তার সবই আমরা করছি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে ইতিমধ্যে প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের রিহার্সেল পর্ব চলছে বলেও জানা যায়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব বণ্টন করব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে কোথায়, কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী চলছে ট্র্যায়াল রিহার্সেল। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে রাষ্ট্রের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা।
এ বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে যাদের যেভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যথাযথভাবে প্রত্যেক পয়েন্টে রিহার্সেল সম্পন্ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীকে রিসিভ করে স্পটে নিয়ে যাওয়াসহ সকল কার্যবিধি সম্পন্ন করা হবে। অনুরূপভাবে সিকুয়েন্স অনুযায়ী রিহার্সাল করা হবে। এ ব্যাপারে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে।
এএম/