অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপথ ও কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বহুল প্রতিক্ষিত এই রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন।
এর আগে ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ১১টা ২৫ মিনিটে আইনিক রেল স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানিয়ে রাখাইন নৃত্য পরিবেশন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণী দল। নৃত্য শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙে রাখাইন তরুণীদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
উদ্বোধন শেষে রেলযোগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু স্টেশন যাবেন। সেখান থেকে সড়ক পথে রামু সেনানিবাস হয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলে যাবেন। সেখানে চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলো হলো দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, বাঁকখালী নদীর ওপর কস্তুরাঘাট-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভূমি ভরাট, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ রোড ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনকরণ, মহেশখালী গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক মজবুত ও প্রশস্তকরণ, কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মহেশখালী ইউনুচখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, উখিয়া রত্নাপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং রামু কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রকল্প।
এছাড়া টেকনাফ মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ, রামু উপজেলা জোয়ারিয়ানালা-নন্দাখালী সড়কে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, কক্সবাজার সদরে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (চতুর্থ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টার্মিনাল-১ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।