আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

হাসপাতালে হামলায় বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না

হাসপাতালে হামলায় বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে টানা প্রায় দেড় মাস ধরে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। এমনকি গাজায় রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর চিকিৎসা অবকাঠামো হিসাবে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গাজার এই হাসপাতালটি আর হাসপাতাল হিসাবে কাজ করছে না। হাসপাতালগুলো নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা থাকলেও এসব স্থান যখন মৃত্যু, ধ্বংস এবং হতাশার দৃশ্যে রূপান্তরিত তখন বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।’ হাসপাতালের ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেন, গেলো তিন দিন ধরে গাজার এই হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট এবং দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এসব কারণে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’ উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল। এছাড়া গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হাসপাতালে | হামলায় | বিশ্ব | চুপচাপ | দাঁড়িয়ে | থাকতে | পারে