ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় 'হাসপাতাল ও বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল' হিসেবে ব্যবহারের জন্য হামাসের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। পাশাপাশি যুদ্ধ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে 'সর্বোচ্চ সংযম' দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের ২৭টি দেশের এই সংগঠন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজায় গভীর মানবিক সংকট নিয়ে ইইউ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে যাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংঘাতে ‘বিরতি’ প্রয়োজন।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলঅ হয়েছে, গাজার পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পুরো গাজা অঞ্চল জুড়ে তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। হাসপাতাল থেকে বের হলেই হামলা চালাচ্ছেন ইসরাইলি স্নাইপাররা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, ১০০ নিহতের মরদেহ কবর দিতেও পারছে না আল শিফা হাসপাতাল। এরই মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস বন্ধ হয়ে গেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,ইসরাইলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরাইল।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।
এছাড়া, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের যে পরিস্থিতির মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তা ‘অনিশ্চিত ও অনিরাপদ’ বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস।