গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ ২ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের বিষয়টি নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ শাহাদাত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরদুকাকান্দি গ্রামের শরীফ হোসেনের ছেলে জোবায়ের আহমেদ (১৫) ও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার গোয়ালতলা গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে নিরব হোসেন (১৮)। তারা উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের মোটরসাইকেলটি চন্দ্রা থেকে সফিপুর দিকে যাচ্ছিল। মহাসড়কের পল্লি বিদ্যুৎ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সামনে এলে বাম দিক থেকে এনডিই সিমেন্ট মিক্সচার কোম্পানির একটি গাড়ি বের হয়ে যাচ্ছিল। তখনই মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে গাড়িটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পিছলে পড়ে যায়। এমতাবস্থায় সিমেন্ট মিক্সচার গাড়ির নিচে পড়ে পিষ্ট হয় তারা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রেডিমিক্সড পরিবহনের একটি গাড়ি সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এসময় অপর একজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সড়ক দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় পরবর্তীতে গাজীপুর জেলা পুলিশ কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও নাওজর হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় যানজট চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মোটরসাইকেল মালিক অন্তরের বাবা রমিজ উদ্দিন জানান, আমার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে কলেজে যায়। পরবর্তীতে টিফিনের সময় তার বন্ধু নীরব তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি অল্প সময়ের জন্য চেয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে দেখি আমার ছেলের মোটরসাইকেল আরেকজন নিয়ে গিয়েছিল। আমার ছেলে অন্তর সুরক্ষিত অবস্থায়ই আছে কিন্তু মোটরসাইকেলে জুবায়ের ও নিরব নামের দুইজন আরোহী হয়েছিল তারা দুজনেই মারা গেছে।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন জনান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি ও গাড়ির চালককেও আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এএম/