আর্কাইভ থেকে জনদুর্ভোগ

নদী ভাঙনে রাস্তা বিলীন হতে যাচ্ছে, বিপাকে ১০ গ্রামের মানুষ

নদী ভাঙনে রাস্তা বিলীন হতে যাচ্ছে, বিপাকে ১০ গ্রামের মানুষ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ-হলিকোনা বাজারের একমাত্র রাস্তা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এ রাস্তা ভেঙ্গে গেলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিপাকে পড়বে ১০ গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার জনসাধারণ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগময়না গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক, সহ শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি হুমকি মুখে রয়েছে। নদীভাঙ্গন কবলিত রাস্তাটি রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকার মানুষ চলাচল করতে পারবেনা। বিগত দশ বছর ধরেই এই রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ। নভেম্বর মাস এলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। ফলে ইতিমধ্যে ১০ জনের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু বাঁধের ভাঙণরোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেননি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা। তাই রাস্তাটির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওর রক্ষা বাঁধের উপর ইট সলিং করে জনসাধারণ চলাচল করেন। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে উপজেলার বাগময়না, গন্ধর্ব্বপুর, স্বজনশ্রী, বাউধরনের প্রায় হাজার হাজার পরিবার প্রতি বছর বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা হয়। এছাড়াও এই বাঁধের ওপর দিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয়রা জানায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ও চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের বাগময়না, আটহাল, খাগাউড়া, স্বজনশ্রী, বাউধরন, সালদিকা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগের জন্য একমাত্র রাস্তা বাগময়না গ্রামের রাস্তা। চলতি মাসের শুরু থেকে বাগময়না এলাকায় ইট সলিং রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি ভাঙন রোধ করা না হলে রাস্তার পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিছু দিন আগে এই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি সহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন আগে বাগময়না গ্রামের সড়কে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় মেম্বার সহ নদী ভাঙ্গনের স্থান পরিদর্শন করে আসি। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নদী | ভাঙনে | রাস্তা | বিলীন | হতে | যাচ্ছে | বিপাকে | ১০ | গ্রামের | মানুষ