আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দেওয়া থেকে ঝামেলার শুরু। দুই দলের হাতাহাতিতে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। লিওনেল মেসিসহ দুই দলের ফুটবলারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এতেও আসেনি কোন ফল, আর্জেন্টাইন দর্শকদের পুলিশ পেটাচ্ছে এটা দেখে একপর্যায়ে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মেসি। যা তিনি ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলে শুরু হয় খেলা। তবে ততক্ষণে প্রায় চলে গেছে আধাঘণ্টা।
মাঠে নামতেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। শুরুটা করেন রদ্রিগো ও মেসি। একটু পরই যোগ দেয় অন্যরাও। এমনকি খেলা শুরুর পরও থামেনি দুই দলই। ফুটবলে যে গোল দিয়ে ম্যাচ জিততে হবে খেলা দেখে মনে হচ্ছিলো যেন ভুলে গেছে দুই দলের ফুটবলাররা।
ফুটবল বিশ্বের জনপ্রিয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই মানে একটা জমজমাট ব্যাপার হবে এমনটা স্বাভাবিক। তবে সকালের ঘুম ভাঙ্গিয়ে যারা বসেছেন খেলা দেখতে, তারা একটু বিরক্তই হয়েছেন হয়তো! এসব কী ঘটছে মাঠে।
পুরো ম্যাচ জুরেই কেবল ফাউল ও কার্ডের ছড়াছড়ি। তবে ফাউল ও কার্ড দেখায় এগিয়ে ছিল ব্রাজিলই। বল পায়েও খানিকটা আধিপত্য ছিল হালুদ জার্সিদের। তবে আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভাঙ্গতে পারেনি রদ্রিগো-জেসুসরা।
অন্য দিকে আর্জেন্টিনার খেলা কিছুটা অগোছালো তো ছিলোই, ফাউল সামলাতে গিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
পুরো ম্যাচ জুড়ে ফাউল হয়েছে মোট ৪২ টি। যেখানে ব্রাজিল করেছে ২৬ টি আর আর্জেন্টিনা ১৬ টি।
ম্যাচ শেষে অবশ্য হাসি হেসেছে এসেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখেই। ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে করা ওতামেন্ডির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সেই গোল আর শেষ পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেনি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী মারাকানায় আবার মেসিদের কাছে হারতে হলো ব্রাজিলকে।