পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির(পিটিআই) প্রধান এবং দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ নভেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইন অনুযায়ী ইমরান ও বুশরাকে তলব করে তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন তিনি।
ইসলামাবাদ ইস্ট সিনিয়র সিভিল জজ কুদরতুল্লাহর আদালতে দায়ের করা মামলায় ইমরান-বুশরার বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪,৪৯৬ ও ৪৯৬ (খ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের ধারা রয়েছে বলে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে মানেকা অভিযোগ করেন, বুশরার সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন নষ্ট করার জন্য ইমরান দায়ী ছিলেন। বুশরাকে তালাক দেওয়ার আগে থেকেই পীর-মুরিদের আড়ালে তার স্ত্রী ও ইমরান খানের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাঁর (মানেকা) বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন পিটিআইপ্রধান। তাঁর (মানেকা) অনুপস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ইমরান অবস্থান করতেন, যা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, অনৈতিকও ছিল।
মানেকা তাঁর অভিযোগে আরও বলেছেন, তিনি ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বুশরাকে তালাক দেন। ইদ্দতকাল (অপেক্ষার সময়কাল) শেষ হওয়ার আগেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন ইমরান ও বুশরা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আবার বিয়ে করেন। তবে মানেকার এ অভিযোগের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা।
মামলার শুনানি নিয়ে তিন সাক্ষীর প্রতি নোটিশ জারি করেছেন আদালত। ওই তিন সাক্ষী হলেন-ইস্তেখাম-ই-পাকিস্তান পার্টির সদস্য আউন চৌধুরী, নিকাহ পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ ও মানেকার বাড়ির কর্মচারী লতিফ। আসছে ২৮ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের স্ত্রী বিবি বুশরার প্রথম স্বামী ছিলেন মানেকা। ১৯৮৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন পিটিআই নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।