আবারও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। টানা ১০ দিন ছুটি কাটিয়ে সোমবার(২৭ নভেম্বর) ঢাকায় ফিরেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই কূটনীতিক। বৃহস্পতিবার(৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পিটার হাস।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যান্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ঢাকায় অবস্থানরত ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদ উল আলম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই চলে যান পিটার হাস। অন্যদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এবিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি। তবে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পিটার বৈঠকের ব্ষিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করা এক বার্তায় বলা হয়,‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে আজ রুটিন বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন।’ সেখানে বৈঠকের একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৃহস্পতিবারের বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো না হলেও সমসাময়িক বিষয় নিয়েই হয়তো এই বৈঠক হয়েছে বলে ধারনা করছেন বিশ্লেষকরা। সঙ্গত কারণেই সেখানে, রাজনীতি, শ্রমনীতি ও নির্বাচন প্রসঙ্গ ছিল বলে তাদের অনুমান।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরের দিন ১৬ নভেম্বর ছুটিতে চলে যান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। কোনো দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকদের কর্মস্থল থেকে নিজ দেশে বা ছুটিতে গেলে ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে যেতে হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্বাভাবিক নিয়মে ছুটিতে গেলেও বিষয়টি নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তোলে। ছুটিতে যাওয়ার আগে দেশের তিনটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি পৌঁছে দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।