আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

যে কারণে পদত্যাগ করলেন পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট

যে কারণে পদত্যাগ করলেন পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিল ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে মন্তব্যে করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পরেন। এর প্রেক্ষিতেই শনিবার (৯ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করলেন ম্যাগিল। রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান স্কট বক জানান, ম্যাগিল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। গেলো মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের শিক্ষা–সংক্রান্ত কমিটিতে শুনানি হয়। শুনানিতে করা মন্তব্যের জেরে ম্যাগিল তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। একই কারণে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্টও সমালোচনার মুখোমুখি হন। শুনানিতে তাদের প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ‘ইহুদিদের গণহত্যার’ ডাক দিয়েছেন, তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না। এ প্রশ্নে তিনজন সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। তাদের উত্তর ছিল দীর্ঘ, আইনজীবীসুলভ, আপাতদৃষ্টে এড়িয়ে যাওয়ার মতো। ফলে প্রতিক্রিয়া হয় দ্রুত ও তীব্র। প্রতিক্রিয়ায় ৭৪ আইনপ্রণেতা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্টদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেন। শুনানিতে ম্যাগিলের কার্যকলাপকে ‘একেবারে লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর। একজন বড় দাতা বলেন, তিনি ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসকে দেয়া ১০০ মিলিয়ন ডলারের উপহার প্রত্যাহার করবেন। শুনানিতে রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্টদের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, ইহুদিদের গণহত্যার ডাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কি না। স্টেফানিকের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি ম্যাগিল। তখন স্টেফানিক জানতে চান, উত্তর ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’? জবাবে ম্যাগিল বলেন, বিষয়টি প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদের কাছ থেকেও অনুরূপ উত্তর পান স্টেফানিক। এতে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, বিষয়টি প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভরশীল নয়। উত্তর হবে ‘হ্যাঁ’। এই উত্তর দিতে না পারার কারণে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে, দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক অপরাধ বেড়ে গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কারণে | পদত্যাগ | পেনসিলভানিয়া | ইউনিভার্সিটির | প্রেসিডেন্ট