‘আন্তর্জাতিক কোনো সমস্যা সমাধানে সদস্যরা ঐক্যমতে পৌঁছতে না পারার কারণে নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।এতে জাতিসংঘের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ রোববার(১০ ডিসেম্বর) কাতারে দোহা ফোরামে অংশ নিয়ে জাসিংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ায় দোহা ফোরামে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ প্রধান গুতেরেস। নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার জন্য তিনি সদস্যদের মধ্যে বিভক্তিরও নিন্দা জানান।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হয়। এতে ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩টি দেশ যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিলেও শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার কারণে ওই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
বিষয়টি উল্লেখ করে দোহা ফোরামে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘গাজায় মানবিক বিপর্যয় রোধ করতে সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য আমি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এটা খুবই দুঃখজনক যে নিরাপত্তা পরিষদ সেই অনুরোধ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তাই বলে যে সেখানে যুদ্ধবিরতির আবেদন ফুরিয়ে গেছে-এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। আমি কখনো হাল ছাড়ব না।’
এসময় তিনি আরও বলেন,নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ‘ভূকৌশলগত বিভক্তির কারণে পরিষদ পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ হয়ে পড়েছে। এ বিভক্তির কারণে হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের চলমান সংঘাত নিয়ে সমাধানে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে জাতিসংঘের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গাজার প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, গাজা পরিস্থিতির এত দ্রুত অবনতি হচ্ছে যে, তা ‘বিপর্যয়ের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব এমন হবে যে ফিলিস্তিনিরা হয়তো আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। গাজা সংঘাত এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে।