আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

আজ শনিবার (৭ মে) স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি)-এর ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।

এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া  মাহফিল, তবারক বিতরণ , স্মরণ  সভা  এবং স্মরণিকা  প্রকাশ। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরাদা বাণী দিয়েছেন।

আজ ৭ মে সকালে গাজীপুর  সিটি করপোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের  হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিকেলে মিলাদ ও দোয়া  মাহফিল  তবারক বিতরণ, স্মরণ  সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি) স্মৃতি পরিষদ ৬ মে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে’ সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে রাজনীতিবিদ ও  জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’  শীর্ষক এক অলোচনা সভার আয়োজন করে।

এই উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অ্ঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন , ভাওয়াল  সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ভাওয়াল আইডিয়াল একাডেমী, হায়দরাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও ভাওয়াল শিশু কিশোর ফোরামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মরহুমের কবরে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া  মাহফিলের আয়োজন করেছে ।

শহীদ  আহসান উল্লাহ  মাস্টার ( গাজীপুর- ২ গাজীপুর সদর-টঙ্গী ) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- (বিলস)-এর চেয়ারম্যান।

তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন এবং দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে । ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও শ্রমিক লীগসহ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসুচিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অংশগ্রহণ করার জন সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আহসান | উল্লাহ | মাস্টারের | ১৮তম | শাহাদাৎ | বার্ষিকী | আজ