নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম-২ আসনের প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় নজিবুল বশর সাংবাদিকদের জানান, নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের কোন অসুবিধা হতে পারে এমন কিছু করতে চাই না। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফটিকছড়ি আসন থেকে সরে দাঁড়ালাম, দেশের অন্য আসনগুলোতে আমাদের প্রার্থী থাকবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সবাই আমাকে ভালবাসে, ফটিকছড়িবাসীও আমাকে ভালবাসে। আমি ফটিকছড়িবাসীর সাথে সবসময় সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম, আছি ও থাকবো।
প্রচার-প্রচারণায় মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে আপ্লুত জানিয়ে মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘১৮ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দলীয় প্রতীক ‘ফুলের মালা’ মার্কার সমর্থনে ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা হয়েছে। ফটিকছড়িবাসীর অকুণ্ঠ ভালবাসায় বাগানবাজার হতে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ১৮টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার জনসাধারণের ভালবাসা ও সমর্থনে আমি আবেগে আপ্লুত হয়েছি।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় মূল্যবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ)'র পক্ষ হতে আমি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপিসহ সর্বমোট ৪২ জন প্রার্থী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি।’
‘সংবিধান রক্ষার এই নির্বাচনে আমিসহ বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ)'র অন্যান্য প্রার্থীগণ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ পথসভা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আমেজে আমরা আমাদের কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে চালিয়ে আসছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের নেতা সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মোহাম্মদ শাহজালাল, আলমগীর আলম, মওলানা কাজী নিজাম মোরশেদ প্রমুখ।