ভোটারদের দেয়ার জন্য সাবান মজুত করায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর এক কর্মীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে সিংগাইর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তথা এসি (ল্যান্ড) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবদুল কাইয়ুম খান এ জরিমানা নির্ধারণ করেন।
বিচারক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আবদুল কুদ্দুস মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তার কাছ থেকে তিন কার্টন গোসলের সাবান উদ্ধার করা হয়।
আবদুল কদ্দুস মিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের উত্তর গোলাইডাঙ্গা এলাকায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের ঘুষ হিসেবে দিতে বাড়িতে গোসলের সাবান মজুত করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলুর কর্মী রফিকুল ইসলাম। খবর পেয়ে গোলাইডাঙ্গা এলাকায় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গোসলের দামি সাবান উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের খবর পেয়ে রফিকুল ইসলাম পালিয়ে গেলেও তার বাবা আবদুল কদ্দুস মিয়া ধরা পড়েন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে ভোটারদের জন্য মজুত করা সাবান ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সাবানগুলো সরবরাহ করেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মাজেদ খান। কয়েক দিন আগে আবদুল মাজেদ খানের নির্দেশে তার ছেলে আশরাফ হোসেন খান গোপনে উত্তর গোলাইডাঙ্গা এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে তিন কার্টন দামি গোসলের সাবান দেন। ওই সাবনের জন্যই আবদুল কদ্দুস মিয়াকে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবদুল কাইয়ুম খান জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং ভোটারদের জন্য সাবান মজুত রাখার অপরাধে আবদুল কুদ্দুসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আগামীতে এ ধরনের কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম ছাড়াও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও চারজন।