রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। তারা সরাসরি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে দাবি করছে ডিবি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় কাজী মনসুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যুবদলের কয়েকজন নেতা ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা বিভিন্নস্থান থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে আগুন লাগানোর জন্য লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগী আসামিকে দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় অর্থ সহায়তা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আলামত হিসেবে নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ, মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক নবী উল্লাহ নবীকে আটক করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। কমলাপুরে প্রবেশের সময় একটি কামরায় আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। -
আগুনের এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ ৮ জনের শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে।