ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ফের হামলা চালিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। আগের দিন শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দেশটিতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইয়েমেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হামলা চালালো পশ্চিমা জোট। এর আগেই ইয়েমেনে 'প্রয়োজনে' আবারও হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবারের (১৩ জানুয়ারি) মার্কিন কর্মকর্তারও ইয়েমেনে এ হামলার কথা স্বীকার করেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তাছাড়া ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার এক সাংবাদিক।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় অনেকে পোস্ট দিয়েছেন। সেগুলো থেকে জানা গেছে, শনিবার ভোরে দেশটির রাজধানী সানার পাশেই একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় হোদেইদাহ শহরেও বিমান হামলা করেছে মার্কিন জোট।
আগের দিনের হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোরে ইয়েমেনের কয়েকটি শহরে হামলা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন হুতি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল-মোরতাদা।
ওই হামলার পর এক বিবৃতিতে আবারও হামলার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার হামলা পরবর্তী ওই বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, লোহিত সাগরে হুতিদের সাম্প্রতিক আক্রমণ মার্কিন সেনা, বেসামরিক নাবিক এবং আমাদের অংশীদারদের বিপন্ন করছে, বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা আমাদের সেনাদের ওপর আক্রমণ আর সহ্য করবে না এবং সমুদ্রে নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগও শত্রুদেরকে আর দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও হামলার নির্দেশ দিতেও সংকোচ বোধ করব না।
আর ইয়েমেনে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছিল হুতিদের পক্ষ থেকে। প্রথম হামলার পর ইয়েমেনে হুতিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এই নির্লজ্জ আগ্রাসনের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।