বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্স (সিএইচসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং ডিনারে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা নিজেদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেবে এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে সফররত কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। কানাডার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাক খাত, পাট ও পাটজাত পণ্য, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, পর্যটনসহ আরও কিছু খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্সের (সিএইচসিসি) সভাপতি ও প্রতিনিধিদলের নেতা নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাভদা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই এবং সিএইচসিসি উভয়ই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়ী নেতাদের কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানান সিএইচসিসি সভাপতি নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাভদা।
এফবিসিআই সভাপতি আরও বলেন, তৈরি পোশাকের বাইরেও পাট ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, ওষুধ, প্লাস্টিক আসবাবপত্র, হোম টেক্সটাইল, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক পণ্যসহ কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিআইয়ের সহ সভাপতিসহ পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ